* সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে ফল ভালো হবে না

জে. জাহেদ , চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিক নির্বাচনে দলের সমর্থন পাওয়া এবং সমর্থনবঞ্চিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চসিক নির্বাচনে দলের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এ বৈঠকে দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা ‘ফিল্ড ওপেন’ (সবাইকে নির্বাচনের সুযোগ) করে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

তবে তাদের এ অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, চসিক নির্বাচনে যারা দলের সমর্থন পেয়েছেন, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের হাই কমান্ডের দেওয়া এ সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কাউন্সিলর নির্বাচন করলে এর ফল ভালো হবে না। দলীয় কোনো সহযোগীতা তারা পাবেন না। বরং তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, দলে আপনাদের অবদান রয়েছে। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন আপনারা। তবে সবার উপরে দল। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। ‘দলের জন্য কাজ করেও বঙ্গবন্ধুর সময়ে আমি মনোনয়ন পাইনি। এরপর ৪-৫ বার আমি এমপি-মন্ত্রী হয়েছি। এখন আমার মন্ত্রীত্ব নেই। এজন্য কী আমি দল ছেড়ে দিয়েছি? দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করেছি?’

দুই পর্বের এ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ চান। তবে তাদের সুযোগ না দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেন, ৮ মার্চ আইসিসি কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসবেন। আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তার কাছেই বলতে পারবেন।

তবে কথা বলতে না দেওয়ায় এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্রাহী প্রার্থীরা। তারা চিৎকার করে তাদের কথা বলার চেষ্টা করেন। পরে বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে চাওয়া এ প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকে।

প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলের সমর্থন না পাওয়া ১৪ জন বর্তমান কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।